পোশাকের ‘গুণ’
- মুহাম্মাদ সাকিব ০৩-০৫-২০২৪

অমর সেই পারস্য কবি, ছিলো তাঁর বিশ্বজোড়া খ্যাতি,
হুম, ধরেছেন ঠিকই! তিনি সেই মহামতি শেখ সাদী !
একদা সম্রাটের নিমন্ত্রণে, বেরোলেন কবি প্রাসাদের সন্ধানে,
বহুদূর পানে ক্লান্তিকর ভ্রমণে , খুব সাধারণ পোশাক পরনে।
দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যে পেরিয়ে, এলো ঘুটঘুটে আঁধার ঘনিয়ে,
রাতের দুর্গম ভ্রমণ এড়িয়ে, রইলেন এক গৃহে আশ্রয়ে।
আশ্রয়দাতা গৃহবাসী তাঁরে, ঠাঁই দিলো এক খুব ছোট ঘরে,
খুব সাধারণ সীমিত আহারে, রইলেন কবি অতি অনাদরে।
অবশেষে এলো সেই শুভ ক্ষণ! প্রাসাদে এলেন মহাগুণী জন!
চললো কবিতা, সাহিত্য, দর্শন! চললো কবির উষ্ণ আপ্যায়ণ।
সম্রাট তাঁর ভালোবাসা দিয়ে, কবিরে দিলেন রাজকীয় রাঙা পোশাক জড়িয়ে,
খুব দামী সব উপহার নিয়ে, বেরোলেন কবি বিদায় জানিয়ে!

ফেরবার পথে আঁধার আনত, সেই গৃহে কবি ফের আশ্রিত,
কবি যে এবার বিস্মিত চমকিত! সেই গৃহবাসী অতিমার্জিত!
কবির পোশাকে রাজকীয় ঢং, তাই তিনি আজ সম্মানীজন!
অনাদর মাখা সেই সাধারণ, পোশাকের গুণে হলো নারায়ণ!
সাজানো-গোছানো পরিপাটি ঘরে, রইলেন কবি অতি সমাদরে,
রাজ পোশাকী অতিথির তরে, মহা আয়োজন রাতের খাবারে।
কিন্তু কী হলো? ব্যাপারটা কী? খাওয়া ফেলে কবি করছেন একী!
রাজ পোশাকের পকেটে পকেটে ভরছেন কবি বহু দামী ঐ খাবার সবই!
বিস্ময়ে সবে বললো, “সেকি! এমন কাজের রহস্য কী?”
বললেন কবি, “এই যে খাবার, সমাদর সবই, এসব তো মোর পোশাকের কারসাজি! বিবর্ণ পোশাকে রেখেছিলে অনাদরে, তাই এখন যে খাবার দিয়েছো মোরে,
দিলাম তুলে রাজ পোশাকের তরে, যে পোশাকের জোরে আমি আজ সমাদরে!”

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।